সাধারণত অস্ট্রেলিয়ায় যেকোনো দলকেই পেস-নির্ভর পিচে স্বাগত জানানো হয়। চলমান বোর্ডার-গাভাস্কার সিরিজেও তেমন পিচেই তারা চ্যালেঞ্জে ফেলছে সফরকারী ভারতকে। ইতোমধ্যে অনুষ্ঠিত চার টেস্ট শেষে অজিরা ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে আছে। মেলবোর্নে সর্বশেষ টেস্টে হারের পর বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে একপ্রকার ছিটকে গেছে ভারত। তবে আশা কিছুটা হলেও বাঁচিয়ে রাখতে তাদের শেষ ম্যাচে জয় প্রয়োজন।
সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এসসিজি) আগামী শুক্রবার সিরিজের পঞ্চম ও শেষ টেস্টে মুখোমুখি হবে ভারত-অস্ট্রেলিয়া। তার আগে ভারতকে প্রচ্ছন্ন হুমকিই দিয়ে রাখল স্বাগতিকরা। সিডনিতে আসন্ন টেস্টের পিচ কেমন হবে, তারই একটা ধারণা দিলেন সেখানকার কিউরেটর। স্বভাবতই সেখানেও থাকছে লম্বা-পুরু ঘাস। যেখানে গতির ঝড় তুলবেন পেসাররা।
বুধবার (১ জানুয়ারি) সিডনির পিচ কীভাবে প্রস্তুত করা হচ্ছে তার একটি ভিডিও পোস্ট করা হয় এসসিজির এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে। যেখানে পিচ কিউরেটর অ্যাডাম লুইস বলেন, ‘আমাদের কাছে দু’দিন সময় রয়েছে, এখন শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে। আজ সকালেই পিচের ওপর থেকে কভার সরানো হয়েছে। ছাটাইয়ের পর ঘাস রাখা হয়েছে ৭ মিলিমিটারের মতো। ভালোভাবেই রোল করা হয়েছে। পিচ এই অবস্থায় দেখে আমি খুশি।’
টেস্ট শুরুর আগে সিডনির পিচ পরিপক্ব হয়ে উঠবে বলেও জানান তিনি, ‘সামান্য পানি ছেটানো হয়েছে। সিডনিতে প্রচন্ড গরম, তাই আদ্রতা আছে পিচের ওপর। আগামীকাল থেকে আমরা আরও ভারী রোলার চালাব, তখন পিচ কিছুটা রং পরিবর্তন করবে, এরপর আমরা তৃতীয় দিনের জন্য তৈরি হব।’
সিডনিতে জিতে বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি ড্র করাই মূল লক্ষ্য রোহিতদের। তবে সিডনির পিচ কেমন হবে সেটি একটি বড় প্রশ্ন। আগের টেস্ট ম্যাচগুলোতে পিচ থেকে বাড়তি সুবিধা পেয়েছেন পেসাররা। সিডনিতে সাধারণত স্পিনাররা সুবিধা পেয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে হয়তো ঘাসের আকার আরও ছোট করে নেওয়া হতে পারে!
খুলনা গেজেট/এএজে